গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ০১ এপ্রিল, ২০১৮ সালে চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা প্রদান করেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৮-২০১৯ এমবিবিএস শিক্ষাবর্ষে ১ম ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ অধিশাখার ১৯/১১/২০১৮ খ্রি. তারিখের পত্র অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ৪র্থ তলার উত্তর পার্শ্বের ১৩টি কক্ষ নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে নিজস্ব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু না হওয়া পর্যন্ত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল-কে অস্থায়ীভাবে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়। অত্র কলেজে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন করে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির সরকারি অনুমোদন রয়েছে এবং ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে মোট ৭৫ জন করা হয়েছে। বর্তমানে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অত্র কলেজে ৩২৫ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়াকৃত বাড়ি ও মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টার এর শূন্য ইউনিটগুলোকে হোস্টেল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন একটি ছাত্রী হোস্টেল ও ইন্টার্নী হোস্টেল ভাড়া নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। চাঁদপুর শহরের অদূরে অত্র কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের নিমিত্তে সম্প্রতি একনেক কর্তৃক "চাঁদপুর মেডিকেল হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ" প্রজেক্ট শীর্ষক ডিপিপি অনুমোদিত হয়েছে।